ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ভাইরাস সংক্রমন সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য
হঠাৎ ভারী বর্ষণ এবং আসনড়ব বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার বংশবিস্তারের কারণে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে পারে। এমতাবস্থায় ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ বিষয়ে আগাম সতর্কতা এবং এডিস মশা নির্মূলে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া অতীব জরুরী।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া কি? (Dengue & Chikungunya)
- ভাইরাস জনিত রোগ যা এডিস মশা কামড়ে ছড়ায়,
- সাধারণ চিকিৎসাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া জ্বর ভালো হয়ে যায়, তবে হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর ও ডেঙ্গু শক্ সিনড্রোম মারাত্মক হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও করণীয় (Dengue symptoms)
- জ্বর ১০৪-১০৫০ সে. , মাথা ব্যথা, মাংসপেশীতে, চোখের পিছনে ও হাড়ে প্রচন্ড ব্যথা, চামড়ায় লালচে ছোপ (র্যাশ)
- রোগীকে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খাওয়াতে হবে এবং মশারীর ভিতরে বিশ্রামে রাখতে হবে।
- জ্বরে শুধুমাত্র প্যারাসিটামল ব্যবহার করা যেতে পারে, কোনো অবস্থাতেই এসপিরিন, ঘঝঅওউ, জাতীয় ঔষধ সেবন করা যাবে না
- হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর ও ডেঙ্গু শক্ সিনড্রোম হলে দাঁতের মাড়ি, নাক, মুখ ও পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। সেক্ষেত্রে রোগীকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিতে হবে।
চিকুনগুনিয়া জ্বরের লক্ষণ ও করণীয় (Chikungunya symptoms)
- এ রোগের লক্ষণ ডেঙ্গু রোগের মত। সাধারণতঃ চিকুনগুনিয়া রোগটি এমনি এমনিই সেরে যায়, তবে কখনো কখনো গিটের ব্যথা কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছরের বেশী সময় থাকতে পারে,
- গিটের ব্যথার জন্য গিটের উপরে ঠান্ডা পানির শেক এবং হালকা ব্যায়াম উপকারী হতে পারে। প্রয়োজনে নিকটস্থ সরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে।
এডিস মশার বিশেষ বৈশিষ্ট্য
- এডিস মশা সাধারণত বাড়ির ভেতরে ফুলের টব, এসি ও ফ্রিজের তলায় ও আশে-পাশে পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা জমাকৃত পানিতে ডিম পাড়ে।
- এ মশা সাধারণত দিনের বেলায়, সূর্যোদয়ের পর এবং সূর্যাস্তের পূর্বে কামড়ায় ।
প্রতিরোধ
- মশার বিস্তার রোধে ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, এসি ও ফ্রিজের তলায় ইত্যাদিতে পানি জমতে দেয়া যাবে না.
- বাড়ির আঙিনা, নির্মাণাধীন ভবনে পানির চৌবাচ্চা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে.
- দিনেও ঘুমানোর সময় মশারী ব্যবহার করতে হবে।
ডেঙ্গু সচেতনতায় স্বাস্থ্য বিভাগের করণীয়
- ডেঙ্গু বিষয়ে আগাম সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মশার বংশ বিস্তার প্রতিরোধে সকল স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন,
- জন-সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহন যেমন পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ইত্যাদি,
- সংশ্লিষ্ট বিভাগে (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, সিডিসি ও আইইডিসিআর ) নিয়মিত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তথ্য প্রেরণ।